Description
গমঘাস পাতার রস – ভেতর থেকে বিশুদ্ধ হোন, দিন শুরু হোক সবুজ সতেজতায়
গমঘাস পাতার রস (Wheatgrass Juice) হল প্রকৃতির এক বিস্ময়কর উপহার, যা শরীরের ভিতর থেকে ডিটক্সিফাই করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহে প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে। গমঘাসকে বলা হয় “গ্রিন ব্লাড”, কারণ এতে রয়েছে শরীরের জন্য অপরিহার্য ক্লোরোফিল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও ১০০+ পুষ্টিগুণ যা প্রতিদিনের সুস্থতায় দারুণ কার্যকর।
উৎপাদন প্রক্রিয়া – শতভাগ অর্গানিক যত্নে প্রস্তুত
গমঘাস পাতার রস উৎপাদনের প্রতিটি ধাপেই আমরা অনুসরণ করি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং প্রাকৃতিক মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি। আমাদের নিজস্ব চাষের মাঠে বাছাইকৃত দেশি গম বীজ থেকে কোনো রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ছাড়াই অর্গানিক পদ্ধতিতে গমঘাস চাষ করা হয়। নির্ধারিত বয়সে (সাধারণত ৭–৯ দিন বয়সে) গমঘাস যখন সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ ধারণ করে, তখন তা কাটা হয়।
এই কাটা গমঘাস শুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে হাইজেনিক পরিবেশে বিশেষ ধরণের জুস এক্সট্রাক্টরে ঠান্ডা পদ্ধতিতে রস বের করা হয়, যাতে ভেতরের পুষ্টিগুণ, ক্লোরোফিল, এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নষ্ট না হয়। তারপর এই ফ্রেশ রস নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে, প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বোতলে ভরে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক প্যাকেজিংয়ে সিল করা হয়।
প্রতিটি ব্যাচের রস প্যাকেট উৎপাদনের সময় এবং মেয়াদসহ সঠিক লেবেলিং করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের প্রিজারভেটিভ, রং, ফ্লেভার বা রাসায়নিক উপাদান যোগ করা হয় না। শুধুই খাঁটি, বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর গমঘাস পাতার রস – যা সরাসরি প্রকৃতি থেকে আপনার হাতে পৌঁছায়।
উপকারিতা (Benefits):
১. প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার:
গমঘাস পাতার রস লিভার, কিডনি ও অন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটি শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে ও ত্বকে আনে স্বাস্থ্যজ্জ্বলতা।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্লোরোফিল দেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৩. রক্ত বিশুদ্ধকরণ ও হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়ক:
গমঘাসে থাকা প্রাকৃতিক আয়রন এবং ক্লোরোফিল রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে কার্যকর।
৪. ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ:
গমঘাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সহায়ক, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
৫. গ্যাস্ট্রিক ও হজম সমস্যায় সহায়ক:
হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেটের গ্যাস, অম্বল বা গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা দূর করে।
৬. ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে:
গমঘাস রক্ত পরিশোধন করে, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে ও ব্রণ-দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায়।
৭. শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি:
নিয়মিত সেবনে দেহে শক্তি জোগায়, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়।
কিভাবে খাবেন?
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২০-৩০ml গমঘাস রস পান করুন
- চাইলে হালকা গরম পানি বা সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন
- ডায়াবেটিক বা উচ্চরক্তচাপের রোগীরাও নিয়মিত সেবন করতে পারবেন
- শিশুর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
কেন আমাদের গমঘাস পাতার রস ব্যবহার করবেন?
✅ ১০০% খাঁটি ও অর্গানিক
✅ কোন প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল নেই
✅ নিজস্ব চাষ, নিজস্ব প্রস্তুতি – তাই গুণগত মানে নিশ্চয়তা
✅ হাইজেনিক প্যাকেজিং ও কোল্ড চেইনে ডেলিভারি
✅ সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা স্বাস্থ্যসেবা
প্রাকৃতিক ভেষজের প্রতিশ্রুতি:
“আপনার সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য প্রকৃতির বিশুদ্ধতম উপহার পৌঁছে দিচ্ছি ঘরে ঘরে। গমঘাস রস – প্রতিদিনের সুস্থ অভ্যাসের অংশ হোক আজ থেকেই।”
Reviews
There are no reviews yet.