ভেষজ

হুইটগ্রাস বা গমের ঘাসের রস দাঁতের ক্ষয় রোধ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি, বাতের ব্যথা কমানো এবং সর্দি-কাশিসহ দীর্ঘমেয়াদী রোগের চিকিৎসায় জনপ্রিয়। এতে বিদ্যমান *ক্লোরোফিল* মানবদেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের গঠনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক। তবে এর বেশিরভাগ স্বাস্থ্যগত দাবি ক্লিনিকাল গবেষণায় পূর্ণভাবে প্রমাণিত নয়। 

• লিভার ডিটক্সিফিকেশন: গমঘাসের এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
• ত্বকের স্বাস্থ্য: ক্লোরোফিল ও ভিটামিন ই একজিমা, ব্রণ এবং অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ কমাতে কার্যকর।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: ফাইবার সমৃদ্ধ গমঘাস পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

হুইটগ্রাসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং টেস্ট-টিউব গবেষণায় কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখা গেছে:  

• মুখের ক্যান্সার কোষ ৪১% হ্রাস করে (এক গবেষণা অনুযায়ী)।  
• লিউকেমিয়া আক্রান্ত কোষের মৃত্যু ৬৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করে (৩ দিনের চিকিৎসার পর)।  
• স্তন ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন অস্থি মজ্জার সমস্যা) কমাতে ভূমিকা পালন করতে পারে (৬০ জন রোগীর ওপর সমীক্ষা)।  
• প্রাণীর ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, হুইটগ্রাস টিউমারের রক্তনালী গঠনে বাধা দেয়।
• কেমোথেরাপির সময় সাদা রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়িয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সতর্কতা: মানবদেহে ক্যান্সার-বিরোধী প্রভাব সম্পর্কে এখনও পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল প্রমাণ নেই।

১. ক্যান্সার থেরাপির সহায়ক

• বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, ও ক্লান্তি কমাতে কিছু ডাক্তার হুইটগ্রাস সাপ্লিমেন্টের পরামর্শ দেন।  
• কেমোথেরাপির সময় রোগীদের সংক্রমণ ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে (সাম্প্রতিক গবেষণা)।  

২. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

• ভারতে স্তন ও ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ ব্যবস্থাপনায় প্রাকৃতিক থেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।  

৩. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ

• হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।